কিংবদন্তি কথাকার হাসান আজিজুল হক বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য নাম। আজ জন্মদিনে তাঁকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। খুব নিরাসক্তভাবে হাসানকে দেখা দরকার। হাসানের গন্তব্য ছিল উদার, স্পষ্ট ও দ্বিধাহীন। বাঙালির জন্য তিনি অসীম প্রেরণার উৎস। আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা, মানে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ আমাদের সাহিত্যে হাসানকে
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ের স্মৃতিচারণা করে ‘একাত্তর: করতলে ছিন্নমাথা’ শিরোনামে প্রবন্ধ লিখেছিলেন কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। প্রবন্ধটিতে হাসান আজিজুল হক তুলে ধরেছিলেন একাত্তরের বিভীষিকাময় দিনগুলোর কথা। তাঁর সেই প্রবন্ধ অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে সিনেমা। ২০২১-২২ অর্থবছরের সরকারি অনুদানে সিনেমাটি নির্মাণ কর
বাংলা কথাসাহিত্যের জগতে শক্তিশালী লেখক হিসেবে সুবিদিত হাসান আজিজুল হক করতেন শিক্ষকতা—প্রথমে বিভিন্ন কলেজে, পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, দর্শন বিভাগে। শিক্ষকতার পেশায় থেকে অনেকেই লেখালেখি করে থাকেন। তবে হাসান আজিজুল হকের লেখালেখি যে নিতান্ত শখের বশে নয়, তা যাঁরা তাঁর লেখা পাঠ করেছেন বা তাঁকে কাছ থেকে
এবার ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হবে বাংলাদেশের চারটি চলচ্চিত্র, যার মধ্যে খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের গল্প ‘বিধবাদের কথা’ অবলম্বনে একটি চলচ্চিত্রও আছে।
হাসান আজিজুল হক বলেছেন, ‘আমি এলিট শ্রেণির মধ্যে নেই। বাংলাদেশের অই শ্রেণিকে আমি ‘রিফিউট’ করি। পাশাপাশি মধ্যবিত্তের তেলতেলে সুবিধাবাদকেও ঘৃণা করি। আমি মনে করি, বাংলাদেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে এ দুই শ্রেণি তুলনামূলকভাবে অত্যন্ত ক্ষুদ্র।’
প্রাণোচ্ছল ক্যাম্পাসে অদ্ভুত এক নীরবতা। সবার মুখে বিষণ্নতার ছাপ। এর মধ্যে এলেন কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক—নিথর দেহে, পিকআপ ভ্যানে। রাখা হলো শহীদ মিনারে। ছায়ানটের শিল্পীরা গাইতে শুরু করলেন
হাসান আজিজুল হক গল্প বলতেন, গল্প বলতে ভালোবাসতেন, চমৎকারভাবে গল্প বলতে জানতেন। তাঁর এই গুণের কথা সবাই জানেন–যাঁদের সৌভাগ্য হয়েছে তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে জানার। যেমনটা আমার হয়েছে। কিন্তু তাঁর ওই গুণের খবর তাঁর পাঠকেরা বিলক্ষণ রাখেন।
অধ্যাপক আব্দুল খালেক উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাসান আজিজুল হক বলেছিলেন, ‘সবাই স্বপ্ন দেখছেন যে, প্রফেসর আব্দুল খালেক উপাচার্য হয়েছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কালাকানুনন রাতারাতি পাল্টে যাবে। আমি তেমন সম্ভাবনার ক্ষীণ আলো দেখলেও ততটা আশা করতে পারছি না। যে দাঁড়িপাল্লা দিয়ে এ দে
উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক একটা উপন্যাস লিখতে চেয়েছিলেন। নাম ঠিক করেছিলেন ‘তরলা বালা’। কিন্তু উপন্যাসটি লেখার আগেই গতকাল রাত সোয়া ৯টায় তাঁর মৃত্যু হলো।
উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের মরদেহ আজ মঙ্গলবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সমাহিত করা হবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক।
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক আর নেই। গতকাল সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে রাজশাহী শহরে নিজ বাসভবন ‘উজান’-এ তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর ছেলে ইমতিয়াজ হাসান আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৯৯৭ সালরে কথা। তখন আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। এক বিকেলের কথা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আবাসিক এলাকা, ক্যাম্পাসরে পশ্চিম পাড়া দিয়ে আমি সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলাম কোথাও।
আমরা যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, তাদের অনেকের কাছে হাসান আজিজুল হক ছিলেন কাছ থেকে দেখা প্রথম ‘সাহিত্যিক’, যাঁর নাম পরীক্ষার জন্য মুখস্থ করতে হতো। শিক্ষার্থীরা বলত, হাসান স্যারের জীবনী মুখস্থ কর। এক নম্বর পাবেই। ভর্তি পরীক্ষায় একটি নম্বর যথেষ্ট বটে। এত বড় একজন লেখক, যাঁর নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর